গ্ৰাম জীবনের খন্ডচিত্র পুজো মন্ডপে : জঙ্গলমহল বাসীর রোজনামচা

13th October 2021 6:23 pm বাঁকুড়া
গ্ৰাম জীবনের খন্ডচিত্র পুজো মন্ডপে : জঙ্গলমহল বাসীর রোজনামচা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  কোথাও ফুটে উঠেছে প্রাচীন সংস্কৃতি, আবার কোথাও ফুটে উঠেছে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার বাস্তব চিত্র। কোথাও আবার সামাজিক সচেতনতা তো কোথাও আবার মাহামারীর সচেতনার বার্তা। বাঁকুড়ার রাইপুরের দূর্গা পূজোর মন্ডপে গেলে এমনই ছবি দেখতে পাবেন দর্শনার্থীরা। পূজোর থিমে যখন আধুনিকতার ছোঁয়া, যেখানে যেখানে ফ্ল্যাশ লাইট, লেজার লাইটের ঝলসানি, সেখানে রাইপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব পূজো কমিটির রজত জয়ন্তী বর্ষের পূজোর প্যান্ডেল তৈরীতে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ,খড়, চট, কাদা মাটি সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান। প্রাচীন রাজ বাড়ির আদলে তৈরী করা হয়েছে প্যান্ডেল। আর এই পূজোর প্রতিমাই বাঁকুড়া জেলার বিশ্ব বাংলা  শারদ সম্মানে সেরা প্রতিমার শিরোপা অর্জন করেছে। প্যান্ডেলের বাইরের দেওয়ালে ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রাচীন গ্রামীন সভ্যতা। সভ্যতার বিবর্তনের ধারায় এবং আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানব জীবনে প্রবেশ করেছে বিজ্ঞান, সভ্যতা হয়েছে যন্ত্র নির্ভর। বর্তমান প্রজন্ম হয়তো জানেই কিভাবে ঢেকিতে ছাঁটা হত চাল বা গুড়ি, কৃষকেরা কি ভাবে মরাইতে মজুত রাখতেন ধান, লন্ঠনের আলোতে কি ভাবে চলতো পড়াশুনো, কাঠের পাটা বা কপাটের সাহায্যে কি ভাবে ধান ঝাড়াই হতো সেই ছবিই পুতুলের সাহায্যে ফুটে উঠেছে এই পূজো মন্ডপে। শুধু তাই নয় রয়েছে করোনা মহামারীর কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে সৌচাগার ব্যবহার করার বার্তা। ফুটে গ্রামের হরিনাম সংর্কীতনের আটচালা থেকে গ্রাম্য বধূর তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বেলে সংসারের মঙ্গল কামনার ছবি। সব মিলিয়ে এখানে এলে এক আপনি নস্টালজিক হয়ে উঠবেন তা হয়তো বলার অপেক্ষা রাখেনা। চলুন তাহলে একবার প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরেই আসা যাক এই পূজো মন্ডপে।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।